তিন দিনেও দেখা নেই সূর্যের

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২২, ২০১৬ সময়ঃ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৫০ অপরাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি

ঠান্ডাগুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কিছুটা বন্ধ হলেও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দেশের উত্তর জনপদ। কিছুতেই যেন কাটছেনা মেঘলা আকাশ। গত তিন দিনেও বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে দেখা মিলছেনা সূর্যের। সেই সাথে মৃদু শৈত্য প্রবাহে বেড়ে চলছে শীতের তীব্রতা।

কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় চলাচল ও জনসমাগম একেবারে নেই বললেই চলে। দুর্ভোগ বেড়েছে বুড়ো ও ছিন্নমুল মানুষের। সবমিলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন।

শুক্রবার ২২ জানুয়ারী বগুড়ার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতাকে2015_0 পিছনে ফেলে জীবিকার প্রয়োজনে শীতের পোশাক পরে ছুটে চলছে কর্মজীবি মানুষ । তথাপি হিমেল হাওয়া, শীত ও কুয়াশায় সময় মত যানবাহন না পাওয়ায় অফিসগামী লোকজন পড়েছে বিপাকে।

এদিকে বুড়ো, ছিন্নমুল মানুষ ও পথশিশুদের জীবন প্রবাহ চলছে বরাবরের মতই ব্যাতিক্রম। তাদের মোটা কাপড়, শীতের চাদর বা কম্বল গায়ে জড়িয়ে বাড়ির বাহির হতে দেখাগেছে। আবার আগুন জ্বালিয়ে গা গরম করার চেষ্টা করছে গ্রামীন জনপদের ছেলে বুড়ো সবাই। তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একেবারেই বাড়ীর বাহির হচ্ছে না কেউ।

আবার শীত আর শৈত্ব প্রবাহে গ্রামীন জনপদের খেটে খাওয়া কৃষক-দিনমজুর ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্রচন্ড ঠান্ডায় তারা কাজে যেতে পারেuntitled-2ননি। তবে বেশি কষ্টে আছেন নদী তীরের মানুষ। বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার ছিন্নমুল মানুষের শীতের কষ্ট ব্যাপক আকারে দেখাগেছে। তাদের একদিকে নেই জায়গা-জমি, নেই অর্থের সামর্থ্য। তার উপর আবার শীতের তীব্রতা তাদের উপর চেপে বসে এ যেন মরার উপর আরেক অত্যাচার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক পরিচিতি ও নেতাদের অনুকুল ছাড়া শীতের কাপড় কারো ভাগ্যে জোটেনি। তাও আবার দু’একটি দিয়ে তারা শুধু ছবি তোলে পত্রিকায় প্রচার করে। তাই তারা খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এদিকে লঘু চাপের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবার শীতের এ তীব্রতায় নিউমোনিয়া, সর্দিকাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নবজাতক এবং শিশুদের দিকে বেশি নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

প্রতিক্ষণ/ এডি/ এল জেড

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G